প্রথমেই বলে নিই, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নির্দিষ্ট সিলেবাস নেই। ভালো করতে
চাইলে কোনো কিছুই বাদ দেওয়া যাবে না। শুরু করতে হবে একদম প্রথম থেকে।
বর্ণমালা থেকে শুরু করে ছোটবেলা থেকে পড়ে আসা অনেক বিষয়ও কাজে আসবে।
পরীক্ষায় বাংলা ব্যাকরণ এবং ভাষা ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন আসে। প্রশ্ন করার
সময় দুটি অংশকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। ব্যাকরণ অংশে ষত্ববিধান,
ণত্ববিধান, কারক ও বিভক্তি, উপসর্গ, সমাস, বাক্য ও বাক্যের অংশ, পদ,
সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, বিদেশি ভাষার শব্দ এবং বানান থেকে প্রশ্ন আসে।
পরীক্ষার হলে এসব বিষয়ে ভালো ধারণা নিয়ে যেতে হবে।
সাহিত্য ও ব্যাকরণ দুটি অংশেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলা ভাষা ও
সাহিত্য অংশে ভালো করতে চাইলে ভাষার উৎপত্তি বা ইতিহাস, প্রাচীন, মধ্যযুগ ও
আধুনিক যুগের সময়কাল, বিখ্যাত রচনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হবে।
প্রাচীন যুগ থেকে প্রায় প্রতিবছরই দুই-তিনটি প্রশ্ন থাকে। প্রাচীন যুগের
অন্যতম নিদর্শন চর্যাপদের আবিষ্কার, আবিষ্কারকাল, আবিষ্কারস্থান, পদ
রচয়িতা এসব নানা বিষয়ে প্রশ্ন আসতে পারে। মধ্যযুগের বিখ্যাত রচনা,
বিভিন্ন কাব্যের চরিত্র থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। আধুনিক যুগের
কবি-সাহিত্যিকদের জীবনকাল ও রচনা এবং বইয়ের বিখ্যাত উক্তি বা পঙ্ক্তিও
জানতে হবে।
বাজারে প্রচলিত বইয়ে অনেক ভুল থাকে। এ ক্ষেত্রে বোর্ডের বই বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রণীত বই অনুসরণ করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, মাথায় কোনোক্রমেই ভুল তথ্য রাখা যাবে না।
0 comments:
Post a Comment