বাংলাদেশ খুবই মজার একটা জায়গা। এখানে আর
কিছু না জেনে শুধুমাত্র ইংরেজী ভাল জানলেই ভাল ক্যারিয়ার নিশ্চিত। কথাটা
ছোট কিন্তু বেশ খাসা এবং মূল্যবান। একবার দেশের বাইরে গিয়েছিলাম;
শ্রীলংকায়। দেখলাম, মুদি দোকানদার, সবজিওয়ালা থেকে শুরু করে সবাই পটাস পটাস
ইংরেজী বলে। যা শুনলে হয়তো আমাদের দেশের অনেক ডাকসাইটের বড়কর্তারাও লজ্জা
পাবেন। তাই বলছি, বাংলাদেশে ভাল ক্যারিয়ারের জন্য মানসম্পন্ন ইংরেজী জানা
বাধ্যতামূলক না হলেও এটা আপনাকে সব জায়গায়, সকল চাকুরীর পরীক্ষায় সুবিধা
এনে দেবে। আপনি যদি, ভাল ইংরেজি লিখতে ও বলতে পারেন, তাহলে আপনি যে কোন
প্রতিযোগীর চেয়ে ৫০% এগিয়ে থাকবেন। মনে করুন, বিসিএস ভাইভা/ ব্যাংক ভাইভা
কিংবা যেকোন ভাইভায় সুযোগ বুঝে পটাস পটাস করে কিছু ইংরেজী ঝেড়ে দিলেই
ভাইভাওয়ালারা মনে করবেন, এই প্রার্থী স্মার্ট, জ্ঞান বিজ্ঞানের সকল শাখায়
মনে হয় তার বিরাট দক্ষতা। এটা আমাদের উপমহাদেশীয় সেন্টিমেন্ট বা ধারণা। যে
কারণেই হোক না কেন, আসল ব্যাপার হচ্ছে সিংহ ভাগ পরিক্ষার্থীরা এটা পারে
না। যে পারে সেই এডভান্টেজ পায়!
ইংরেজিতে দক্ষ হতে গেলে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি জরুরী সেটি হল কম্বাইন্ড এফোর্ট। এক সাথে গ্রামার, ভোকাবুলারি , পত্রিকা পড়া, সাবটাইটেলসহ ইংরেজী মুভি দেখা শুরু করা যেতে পারে। বন্ধুবান্ধবদের সাথে মাঝে মধ্যে ইংরেজীতে বাতচিত করলেন। না হলে, একাই আয়নার সামনে গিয়ে কোন টপিক নিয়ে প্যাচাল পাড়লেন। যতটুকু সম্ভব রেগুলার হতে হবে। একটা পত্রিকা পড়ে অজানা কিংবা আপনার কাছে নুতন এমন শব্দগুলো নোট করে অর্থ বের করুন। অনেক শব্দ জমে গেলে অবসর সময়ে রিভিশন দিন। পারে। বেসিক গ্রামারের জন্য চৌধুরী এন্ড হোসেন এর নাইন টেন/ ইন্টারমিডিয়েট এর বই, জাকির হোসেনে আ প্যাসেজ টু ইংলিশ গ্রামার বা টিজে ফিটিকডেশ এর কমন মিস্টেকস ইন ইংলিশ এই ধরনের ইংরেজি বইগুলো সংগ্রহ করে পড়–ন। সময় পেলে এবং আগের বইগুলোতে মোটামুটি আয়ত্বে চলে আসলে জিআরই/ টোফেল এর বই নিয়ে নাড়াচাড়া করুন। প্রাইমারী স্কুলের নিয়োগ থেকে আরম্ভ করে সব প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় এটা কাজে লাগবে।
0 comments:
Post a Comment